বি,ভি ডেস্ক
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় নয় মাস পর মামলার তিন আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে লালমনির হাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারির ষোলঘড়িয়া মাষ্টারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডোমার থানা পুলিশের এস.আই রোস্তম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বুড়িমারি উপজেলারর ষোলঘড়িয়া মাষ্টারপাড়া এলাকার মৃত আফসার উদ্দীনের ছেলে জাহিদুলের বাড়ি থেকেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে আসামী সেখানে আত্মগোপনে ছিলো বলে এলাকাবাসী জানান।
বাসার মালিক জাহিদুল জানান, তহিদুল আমার চাচাতো শ্যালক। সে ধর্ষণ মামলার আসামী এটা আমি জানতাম না। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলে প্রায় তিন মাস থেকে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছে , আজ তাকে দুজন পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। গ্রেফতার আসামির নাম তহিদুল ওরফে গাঠি (৪২)। সে নীলফামারির ডোমার উপজেলায় বাকডোকরা বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছকমলের ছেলে। মামলার অন্য দুই আসামি(পলাতক) একই গ্রামের জলধর ওরফে ভুচ্যু (৫০) ও বছির উদ্দীন (৫৫)। জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি পশ্চিম বাগডোকরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী। গত ১৫ জানুয়ারি দুপুরে একই এলাকার মৃতঃ ছকমলের ছেলে গাঠি মৃতঃ দাতু এর ছেলে ভুচলু ও মৃতঃ মেনাজ উদ্দিনের ছেলে বছির উদ্দিন মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশের ভুট্টা ক্ষেত ও মেয়েটির বাড়িতেও একাধিক বার ধর্ষন করে। পরবর্তীতে মেয়েটি যেনো ঘটনার ব্যাপারে কাউকে না বলে সেজন্য ওই স্কুলছাত্রী ও পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় আসামীরা। এরপর মেয়ের শারীরিকপরিবর্তন নজরে এলে মেয়েটি আমাদের ধর্ষনের বিষয়টি জানায়। গর্ভবতীর বিষয়টি নিশ্চিত হলে গত ৩১ মে পরিবারের লোকজন উপস্থিত হয়ে ডোমার থানায় ওই তিনজনকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে মেয়ের বাবা। মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্তরা পরিবারকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত ও হুমকি দিতে থাকে। এভাবে দিন অতিবাহিত হবার পর গত ৩০ আগস্ট মেয়েটি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।