জামায়াতের ৬২ জন এমপি ছিলেন, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ নেই

 ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত



বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এবং এটি সকলের জন্য মত প্রকাশের নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুতে বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। জামায়াত ক্ষমতায় এলে কাউকে নির্যাতন করা হবে না। দেশে নতুন বাংলাদেশ দেখা যাবে, যেখানে কোনো সন্ত্রাস বা দুর্নীতি থাকবে না।”


তাহের আরও জানান, জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি নিজেও গ্রেফতারের পর নানা অনুসন্ধানেও দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাননি। পরে দুদক স্বীকার করেছে যে, তথ্যগত ভুলের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের ৬২ জন এমপি ছিলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।


তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দেশীয় রাজনীতির বৃহত্তম দল ছিল, তবে এখনও পুরোপুরি জনপ্রিয় হতে পারেনি। অন্যদিকে, জামায়াত জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যার প্রমাণ ড্যাকসু, জ্যাকসু, রাকসু ও চাকসু নির্বাচনের ফলাফল। শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরকেই বেছে নিয়েছে। আগামী নির্বাচন হবে সত্যের পক্ষের নির্বাচন।


শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তাহের এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোঃ ইউসুফ মেম্বার, সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. মন্জুর আহমেদ সাকির। বিশেষ অতিথি ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মু. মাহফুজুর রহমান এবং জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্ম পরিষদ সদস্য ভিপি শাহাব উদ্দিন।


জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মজলিশে শুরা সদস্য আইয়ুব আলী ফরায়েজী, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওঃ মোহাম্মদ ইবরাহীম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সৈয়দ একরামুল হক হারুন, ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা মেশকাত উদ্দিন সেলিম, শিবিরের কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ সাবেক অফিস সম্পাদক আবু সাঈদ মজুমদার, বিভিন্ন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানরা এবং হেফাজতে ইসলাম ও স্থানীয় সমাজের নেতৃবৃন্দ।

সভায় হাজারো স্থানীয় জনতা উপস্থিত ছিলেন।
নবীনতর পূর্বতন

Smartwatchs