ভোট চুরি করছি, চুরি করলে কী করবা: জাবির বিএনপিপন্থী শিক্ষক


                                               শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের ভিডিও  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে (জাকসু) ঘিরে একের পর এক আলোচনা-সমালোচনা সামনে আসছে। ভোটের আগের রাত থেকে শুরু এ অভিযোগ আজ ভোটগ্রহণের পরও চলছে। ইতোমধ্যেই ভোট বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বাম সমর্থিত খণ্ড খণ্ড দুই-একটি প্যানেলও রয়েছে এই তালিকায়।

এরমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের তর্ক-বিতর্কের একটি ভিডিও। অধ্যাপক ছালেহ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাহাঙ্গীরনগরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তিনি।

ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ছালেহকে একটি কাগজ দেখেয়ে বলছেন, ‌'স্যার, আপনি প্রমাণ করেন, এই কাগজ দিয়ে ভোট হয় কিনা? জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রমাণ করতে পারিনি, তুমি কি করবা?' এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, 'তাহলে আপনি ভোট চুরি করেছেন। জবাবে ওই অধ্যাপক বলেন, 'হ্যাঁ, আমি চুরি করে করেছি, চুরি করলে কি করবা তুমি? এ সময় শিক্ষার্থীরা উচ্চবাচ্য শুরু করেন। এ সময় ওই অধ্যাপক বারবার বলতে থাকেন, ‘সমাধান কী, সমাধান কী। তোমরা কীভাবে সমাধান চাও।’

এদিকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও নিয়ে ইতোমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে ফেসবুকে। শফিকুল ইসলাম নামে এক জাবি ছাত্র লিখেছেন, 'চুরি করতে পারবে প্রতিবাদ করলেই বেয়াদব।' মো. সিগার মিয়া আজিজ নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'এগুলা কি সুস্থ নির্বাচন?'

এদিকে নির্বাচনের বিষয়গুলো নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু দায়েন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্রদল ও চারটি বাম সংগঠন নির্বাচন বর্জন করেছে। বামদের বর্জনের বিষয়ে কিছু বলার নেই। ছাত্রদলের বর্জনের বিষয়ে ধন্দে পড়েছি। ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে বোধ হয় ভোট দেওয়ার সময় ফুরানোর ১০ মিনিট আগে। অনিয়মের অভিযোগগুলোও দেখলাম। নির্বাচনে কারসাজি করার অভিযোগ আসলে কার বিরুদ্ধে?

ফেসবুকে একজনের পোস্টে চারটা নাম দেখলাম। তারা চারজন সম্ভবত চারটি হলের প্রভোস্ট। একজন নারী শিক্ষকও রয়েছেন তন্মধ্যে। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। বাকিদের মধ্যে দুজন বিগত আমলে আওয়ামিপন্থী শিক্ষক ফোরামে সক্রিয় ছিলেন। অপরজনকে চিরকাল বিএনপিপন্থী শিক্ষক হিসেবে জেনে এসেছি, অন্তত গত ৩৩ বছর ধরে। বিভিন্ন নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির মনোনয়নে তিনি সিনেট, সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পর্ষদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা যদি প্রভোস্ট হয়ে থাকেন, চারটি ভোটকেন্দ্র তাঁদের চারজনের তত্ত্বাবধানে থাকার কথা।’

নবীনতর পূর্বতন

Smartwatchs