তেল-মবিল-পানি দিয়ে ধান ফলিয়েছিল বিএনপি, ছাত্ররা হলো ‘দাওয়াল’


 বিএনপি আন্দোলনের বীজ বপন ও চারা রোপন করেছে, যা কাটার দায়িত্ব পালন করেছে ছাত্ররা। তারা হলো দাওয়াল। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিএনপি পাঠানো শোকজ নোটিশের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফজলুর রহমান লিখেনন আমি জামাত-শিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের এই অনৈতিক দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে শতবার বলেছি। বিগত ১৫ বছরের আন্দোলনে জমিটি তৈরি করেছিল, বিএনপি বীজ এবং চারা রোপন করেছিল, তৈল-মবিল-পানি দিয়ে ধান ফলিয়ে ছিল; কিন্তু ধান কাটার লগ্নে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেই তৈরি ধানটি কেটে দিয়েছিল। তারা ছিল আমার ভাষায় ‘দাওয়াল’ (ধান কাটার মজুর), কাজেই আন্দোলনের সমস্ত ফসল পাওয়ার দাবিটি অনুচিত। 

তিনি আরও বলেন, কিন্তু পরবর্তী সময়ে অবাক বিস্ময়ে সবাই দেখলো ৭১ এর পরাজিত শক্তি জামাত শিবির স্বদর্পে মাঠে হাজির হয়েছে এবং দাবি করছে সমস্ত আন্দোলনের ভ্যানগার্ড তারাই এবং শুধু একটা নির্বাচনের জন্যই তারা আন্দোলন করেনি বরং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারের মতো দুঃসাহস তারা প্রদর্শন করতে লাগলো। জামাত শিবিরের পত্রিকার আহব্বান জানানো হলে '৭১-এ যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিল তারা আল্লাহর কাছে মাফ চাও” (সূত্র: বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা)। সেদিন থেকে বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে 'মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে তাদেরকে সাবধান করার চেষ্টা করেছি।

ফজলুর রহমান বলেন, মানুষ এখন বুঝতে শুরু করেছে জুলাই আন্দোলনের দুটি রূপ ছিল। প্রথমতো ‘বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বে’ ‘গণ-আন্দোলন’; যার লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে পরাজিত করে গণ-তান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা। যার প্রধান স্লোগান ছিল ‘এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি’। কিন্তু আমি যাদেরকে অন্ধকারের ‘কালো শক্তি’ বলেছি তারা হলো জামাত-শিবির; যারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণ আন্দোলনের ফসলকে কুক্ষিগত করে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র এবং শক্তি সৃষ্টি করছে। জাতীয় নির্বাচন তাদের নিকট গৌণ ব্যাপার।

নবীনতর পূর্বতন

Smartwatchs