নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে চলমান সংকট কেটে যাবে: দুদু

 BV LIVE NEWS 



বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সরকারকে অনুরোধ করবো ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমে হোক, মাঝে হোক, নির্বাচনের একটি দিন ঘোষণা করার, নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে এখন যে সংকট, সেটা অনেকাংশে কেটে যাবে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখন অনেকেই বিএনপিকে আমলে নিতে চাচ্ছে না। নির্বাচন হলে বোঝা যাবে কোন দল কতটা শক্তিশালী। আমরাও মনে করি, নির্বাচনটা খুব জরুরি। নির্বাচন না হলে বোঝা যাবে না কারা দু-তিনটা সিট পাবে, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে দেশছাড়া হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, কায়দা-কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কী কী বিষয় সামনে এনে নির্বাচনকে কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে আনা হচ্ছে। কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ মনে করে, তারাই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি যে এবারই প্রথম ক্ষমতায় যাবে তা নয়, এর আগেও একাধিকবার জনগণের সমর্থন নিয়ে, ভোটে জিতে ক্ষমতায় গেছে।

এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, জাতীয় সংসদে হামলা করার ইতিহাস আওয়ামী লীগের আছে। এ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই দল, যারা জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে। জাতীয় সংসদকে আঘাত করা তাদের পেশা ও নেশা।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশে এক বিশাল ঘটনা ঘটেছে। জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্টদের অন্যতম সহযোগী তৎকালীন আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, তিনি একজন আসামি ছিলেন। তিনি গতকাল আদালতে স্বীকার করেছেন, গণহত্যা চালানোর জন্য তিনিও দায়ী। তিনি নির্দেশ পেয়েছিলেন শেখ হাসিনার কাছ থেকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা বিরল। এখন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন হলেন রাজসাক্ষী এবং শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন আসামি। আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করেছে।  

অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার তো আওয়ামী লীগকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর শেখ মুজিব তো আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করে গেছেন, হত্যা করে গেছেন। এ সরকারতো সেটা অন্তত করেনি। শেখ মুজিব বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে গেছেন। সেই আওয়ামী লীগকে কবর থেকে তুলে জীবন্ত করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। আমরা সেই দলের রাজনীতি করি। আমরা সংসদকে মাথার ওপরে স্থান দেই। আমরা শান্তির পক্ষে, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে।

নবীনতর পূর্বতন

Smartwatchs