হেমন্তের শেষদিকে দেশের সর্বউত্তরের জনপদ তেঁতুলিয়াসহ পঞ্চগড় জেলা ও এর আশপাশের অঞ্চলে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার সকালেও ঘনকুয়াশায় ঢেকে ছিল পুরো এলাকা। সেই সঙ্গে ছিল হিমেল হাওয়ার দাপট।
মঙ্গলবার সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে; যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এ সময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এছাড়া চলতি মাসেই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি মাসেই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষ। যাদের বেশির ভাগই কনকনে ঠাণ্ডায় পঞ্চগড়ের মহানন্দা নদীতে নেমে দীর্ঘ সময় ধরে পাথর উত্তোলন করেন। একই সঙ্গে এলাকার কয়েক শতাধিক চা-বাগানে শীতের কুয়াশা ভেদ করে চা পাতা তোলার কাজ করেন। কিন্তু শীত বাড়ায় এসব শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর কুয়াশা ভেদ করে হাল্কা রোদ উঠলেও রোদের তীব্রতা সেভাবে অনুভূত হয়নি। এছাড়া দিনের বেলাতেও এখন বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। এর আগে সোমবার বিকালে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্ব্বোচ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। আর রাত থেকে বাড়তে থাকে কুয়াশার দাপট। এতে রাতভর কনকনে শীত অনুভূত হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পড়ে বের হতে হচ্ছে লোকজনকে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এলাকার বিশেষ করে দরিদ্র লোকজন সন্ধ্যার পর ঘর থেকে তেমন একটা বের হচ্ছেন না।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এলাকার হাটবাজারগুলোতে লোকজনের উপস্থিতিও অনেকটা কমে গেছে।
একই সঙ্গে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্ক লোকজন সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
