নীলফামারীর ডোমারে ‘বিয়াই-বিয়ানী’র অস্বাভাবিক সম্পর্কের জেরে গৃহবধূ খুন

 

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় জহুরা বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার মটুকপুর ইউনিয়নের মেলাডাঙ্গা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত জহুরা বেগম ওই গ্রামের ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতের খাবার শেষে সন্তানদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন জহুরা বেগম। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বাড়ির টিনের চালায় শব্দ হলে তিনি বাইরে বের হয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যান। সেই সময় একই এলাকার আশিকুর রহমান নামের এক যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তার চিৎকার শুনে ছুটে এসে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, নিহত জহুরা বেগম ও আসামি আশিকুর রহমান পূর্বপরিচিত ছিলেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ‘বিয়ান-বিয়ানী’ বলে একে অপরকে সম্বোধন করতেন। স্থানীয়দের ধারণা, তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক সম্পর্কের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

নিহতের বোন বাদী হয়ে আশিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, “গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

নবীনতর পূর্বতন

Smartwatchs