
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় দোকানে চা না খাওয়ায় রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন কোমলমতি স্কুলগামী শিশুরা।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার (২৫শে অক্টোবর) সকালে নিজ জমির উপর দিয়ে যাওয়া গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা গর্ত করে ও বাঁশের লাঠি পুঁতে বন্ধ করে দেন ওই চা দোকানদার। শুধু নিজের জমিই নয়, পাশের জমির অংশেও গর্ত ও ঝোপঝাড় ফেলে চলাচলের সম্পূর্ণ পথ বন্ধ করে দেন তিনি। ফলে ৫০ বছর ধরে ব্যবহৃত এ রাস্তায় এখন কেউ ভ্যান, মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশা নিয়ে চলাচল করতে পারছেন না। অনেকেই বাধ্য হয়ে যানবাহন বাড়িতে রেখে হেঁটে যাচ্ছেন, কেউবা সাইকেল কাঁধে তুলে পার হচ্ছেন। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে ছোট ছোট স্কুলপড়ুয়া শিশুরা।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, শাহজাহান মিয়ার দোকানে কয়েকজন গ্রামবাসী চা না খেয়ে অন্য দোকানে যাওয়ায় ক্ষোভে এই অমানবিক কাজটি করেছেন তিনি।
জহুরুল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সামান্য চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে এরকম একটি কাণ্ড করলেন তিনি। তার দোকান থেকে গ্রামের মানুষ চা না খাওয়ায় রাস্তা কেটে গর্ত করে বাঁশের ঝোপঝাড় ও কাটা দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। তিন দিন ধরে আমরা চলাচল করতে পারছি না। ৫০ বছর ধরে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অটোরিকশাচালক হামিদ বলেন, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় অটো, ভ্যান, মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। দ্রুত চলাচল স্বাভাবিক ও চা দোকানদার শাহাজাহানের শাস্তি চাই। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি।
রাসেল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রাস্তা বন্ধ করায় স্কুল যেতে সমস্যা হচ্ছে। পথচারী জাহিদ নামের একজন বলেন, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় সাইকেল হাতে করে তুলে পার হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চা দোকানদার শাহজাহান মিয়া বলেন, আমার পৈতৃক সম্পত্তির ওপর দিয়ে চলাচল করতে দেব না। এটি কোনো রাস্তা ছিল না, এখানে ভাটা থাকাকালীন অবস্থায় এ রাস্তাটি হয়। চা খাওয়া না খাওয়া নিয়ে রাস্তা বন্ধ করিনি। আমার জমি দিয়ে রাস্তা দেব না, তাতে তো আমার দোষ দেখছি না, ম্যাপের রাস্তা বের করে চলাচল করলেই তো হয়।
বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান বলেন, বিষয়টি অবগত আছি। জমির মালিক শাহজাহান মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে। আশা করি সমাধান হবে।