জানা গেছে, কুদ্দুস বিশ্বাসের সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তুর্কিস্তানে পাঠানো হয়। সেখানকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে সফলভাবে তার কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ চার মাসের চিকিৎসা শেষে, শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৪টায় হেলিকপ্টারে করে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন তিনি।
এ সময় পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফুল, মিষ্টি, ব্যানার আর শুভেচ্ছা বার্তায় বরণ করে নেন এলাকার এই পরিচিত মুখকে।
স্বামী কুদ্দুস বিশ্বাস বলেন, আমার স্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় এবং আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। তিনি আমাকে কতটা ভালোবাসেন, তা নিজের কিডনি দান করে প্রমাণ করেছেন। তার এই ভালোবাসা আমাকে আজীবনের জন্য ঋণী করে দিয়েছে।
স্ত্রী ফারজানা বেগম বলেন, স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা ইসলামী শরিয়ত অনুমোদিত একটি পবিত্র সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের প্রতি দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা থেকেই আমি স্বামীকে কিডনি উপহার দিয়েছি। আমার স্বামী আমার মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। আমি খুবই আনন্দিত।
এ বিষয়ে শার্শার সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, এই ঘটনা শুধু চিকিৎসার সাফল্য নয়, এটা ভালোবাসা, আত্মত্যাগ আর মানবিকতার দৃষ্টান্ত। ফারজানা ভাবী শুধু একজন স্ত্রী নন, একজন সাহসী নারীও।